অত্র ১০ নং জাবরহাট ইউনিয়নে রয়েছে, ১ টি সরকারী ও একটি বেসরকারী ব্যাংক
সোনালি ব্যাংক লিমিটেড: জাবরহাট শাখা
ঠিকানা:
গ্রাম: জাবরহাট, ওয়ার্ড-০৪
উপজেলা: পীরগঞ্জ, জেলা: ঠাকুরগাঁও।
গ্রামীন ব্যাংক:
এখানে নিয়মিত টাকা ল্যানদেন হয়
এটি একটি বেসরকারী ব্যাংক
স্থান: জাবরহাট, ওয়ার্ড-০৪
উপজেলা: পীরগঞ্জ, জেলা: ঠাকুরগাঁও।
সিটিজেন চার্টার
সোনালী ব্যাংক বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ রাষ্ট্রায়ত্ত বাণিজ্যিক ব্যাংক। সারাদেশে সোনালী ব্যাংক লিমিটেডের বিস্তৃত নেটওয়ার্ক রয়েছে। জনসাধারণের দোরগড়ায় সব ধরণের ব্যাংকিং সেবা পৌঁছে দেয়ার পাশাপাশি দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নে অবদান রাখা সোনালী ব্যাংক লিমিটেডের লক্ষ্য। আধুনিক তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে দ্রুত ও সঠিক সেবা প্রদানের মাধ্যমে গ্রাহকবৃন্দের সন্তুষ্টি বিধানকল্পে সোনালী ব্যাংক লিমিটেড অঙ্গিকারাবদ্ধ।
সোনালী ব্যাংক লিমিটেডের শাখা ও অফিসসমূহ
সময়সূচী
গ্রাহক এবং গ্রাহক সেবা সম্পর্কিত তথ্য
যিনি ব্যাংকে হিসাব খুলে সন্তোষজনক ভাবে হিসাব পরিচালনা করেন তিনিই ব্যাংকের মূল্যবান গ্রাহক। এছাড়াও ব্যাংকের সেবা গ্রহণের জন্য যিনি ব্যাংকে প্রবেশ করেন তিনিও গ্রাহক হিসেবে বিবেচ্য।
ব্যাংকের বিভিন্ন ধরণের সেবা সম্পর্কে প্রয়োজনীয় তথ্যাদি জানার জন্য এবং নিদির্ষ্ট সেবা পেতে কি পরিমান সময় প্রয়োজন তা গ্রাহককে অবহিত করার জন্য গৃরৃত্বপূর্ণ শাখাসমূহেপ্রথম সেবা প্রদানকারী বা ফোকাল পয়েন্ট হিসেবে ‘‘হেল্প ডেস্ক’’(Help Desk) চালু করা হয়েছে। কোনো জিজ্ঞাসা,সমস্যা বা অভিযোগের জন্য গ্রাহকবৃন্দ হেল্প ডেস্ক এর কর্মকর্তার সাথে যোগাযোগ করতে পারেন।
সোনালী ব্যাংক লিমিটেড প্রদত্ত বিভিন্ন ধরণের সেবা
আমানত হিসাব:
ঋণ ও অগ্রিম
ব্যবসা বাণিজ্যে সহায়তা প্রদান,শিল্পায়ন,কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি ও আমদানী রপ্তানী বাণিজ্যে অর্থায়নের জন্য সোনালী ব্যাংকে নিম্নবর্ণিত ঋন সুবিধা চালু আছে। আগ্রহী ব্যক্তি/প্রতিষ্ঠান ঋণ সুবিধা পেতে সোনালী ব্যাংকের শাখায় যোগাযোগ করতে পারেন। ট্রেডিং লোন সুবিধা যেকোন শাখা থেকে ভোগ করা যায়্ পল্লী এলাকায় শাখা সমূহ পল্লী/কৃষি ঋণ বিতরণ করে থাকে। শিল্প ঋণের জন্য শহরাঞ্চলের শাখা নির্দিষ্ট করা আছে। আমদানী-রপ্তানী বাণিজ্য অর্থায়নের জন্য শহরাঞ্চলের নির্ধারিত শাখা সমূহে যোগযোগ করতে হবে।
সাধারণ ঋণ
ব্যবসা বাণিজ্যে সহায়তা করার জন্য সাধারণ ঋণের আওতায় নিম্নোক্ত খাতে চলতি মূলধন ঋণ প্রদান করা হয়।
কৃষি/পল্লী ঋণ:
বিশেষ কৃষি ঋণ প্রোগ্রামের আওতায় শস্য ঋণ,ডেইরী খামার,ছাগল ও ভেড়া পালন,হাঁস-মুরগী খামার,মৎস্য ও চিংড়ী চাষ,হর্টিকালচার ও নার্সারী,ফার্মিং ও অফ ফার্মিং,বিশেষ বিনিয়োগ স্কীম,জমি বন্ধক,পল্লী গৃহায়ন,ইক্ষু উৎপাদন,সার ডিলার ইত্যাদি খাতে কৃষি/পল্বলী ঋণ বিতরণ করা হয়।
মাইক্রো ক্রেডিট:
বিভিন্ন এনজিও লিংকেজ,ব্যক্তি পর্যায়ের ছাগল ও ভেড়া পালন,হারবাল ও ঔষধি প্ল্যান্ট,বিআরডিবি-ইউসিসিএ-কে ও সেচ ও কৃষি যন্ত্র, পল্লী পরিবহন,ক্ষুদ্র শিল্প স্থাপন, সআতন লবণ চাষ,শহুরে মহিলা ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা উন্নয়ন কর্মসূচী ইত্যাদি খাতে ঋণ বিতরণ করা হয়।
এসএমই(SME)ঋণ :
ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোগকে নিরুৎসাহিত করার জন্য উদ্যোক্তাদের এসএমই প্রদান করা হয়।
এসএমসিএস(SMCS)ঋণ:
বিশেষ ক্ষুদ্রঋণ প্রকল্প: সরকারী/স্বায়ত্ত্বশাসিত সংস্থা/কর্পোরেশন এর কর্মকর্তা/কর্মচারী/বেসরকারী (এমপিও ভুক্ত কলেজ,মাদ্রাসা,উচ্চ বিদ্যালয় ও প্রাথমিক বিদ্যালয়) শিক্ষক বৃন্দের জন্য এসএমসিএস ঋন প্রদান করা হয়।
কৃষিভিত্তিক প্রকল্প ঋণ:
নিম্ন বর্ণিত কৃষিভিত্তিক শিল্প স্থাপনের জন্য প্রকল্প ও চলতি মূলধন ঋণ দেয়া হয়
তামাক প্রক্রিয়াকরণ,পাট প্রক্রিয়াকরণ,খয়ের,পানমসলা ও আগরবাতি উৎপাদন,হিমায়িত মাছ ও চিংড়ী প্রক্রিয়াকরণ,আলু প্রক্রিয়াকরণ,ফল প্রক্রিয়াকরণ,দুগ্ধ প্রক্রিয়াকরণ,ফুড এন্ড এলাইড,এডিবল অয়েল রিফাইনিং,সুগার এন্ড এলাইড,চা প্রক্রিয়াকরণ,লবণ প্রক্রিয়াকরণ,মাংস প্রক্রিয়াকরণ,রাবার প্রক্রিয়াকরণ,জৈব সার উৎপাদন,আলু/ফল ও সবজি হিমাগার,রেশম উৎপাদন,পশু খাদ্য মিল স্থাপন,বীজ প্রক্রিয়াকরণ ও সংরক্ষণ,মাশরুম চাষ, আসবাবপত্র তৈরী, ফুল উৎপাদন ও রপ্তানী,মৌমাছি চাষ ও মধু উৎপাদন,কৃষি যন্ত্র উৎপাদন ও মেরামত ইত্যাদি। এছাড়াও বিজেএমসি ও জুটমিলসমূহে চলতি মূলধন ঋণ দেয়া হয়।
শিল্প প্রকল্প ঋণ :
নিম্নবর্ণিত শিল্প স্থাপনের জন্য প্রকল্প ও চলতি মূলধন ঋণ দেয়া হয়:
কনসোর্টয়াম/সিন্ডিকেটের আওতায় বিভিন্ন ধরণের প্রকল্পে অর্থায়ন,ব্রিজ ফাইনান্সিং, রি-রোলিং মিলস,ইঞ্জিনিয়ারিং শিল্প,তৈল শোধনাগার ও নারিকেল তৈল শিল্প,স্পিনিং মিলস,কাগজ ও বোর্ড মিলস,এক্রেলিক স্পিনিং ও ডাইং শিল্প,বিদ্যুত ও বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম উৎপাদন,নীট গার্মেন্টস শিল্প,সোয়েটার শিল্প,বিশেষ বিনিয়োগ স্কীম,টাওয়েল শিল্প,পার্ক/বিনোদন/পর্যটন শিল্প,হোটেল/রেস্টুরেন্ট/ক্লিনিক/হাসপাতাল নির্মাণ, অটোমেটিক ইট ও টাইলস তৈরী শিল্প,গ্লাস ও সিরামিক শিল্প,ওয়েভিং,সাইজিং,ডাইং প্রিন্টিং এন্ড কম্পোজিট মিলস,নীটিং,সাইজিং,প্রিন্টিং এন্ড কম্পোজিট মিলস,প্রিন্টিং এন্ড প্যাকেজিং শিল্প,ঔষধ শিল্প,গার্মেন্টস এক্সেসরিজ শিল্প,সিএনজি স্টেশন স্থাপন,চামড়া ও রবার শিল্প,প্লাস্টিক পণ্য উৎপাদন,সিমেন্ট শিল্প,কেমিক্যাল শিল্প,তাঁত,জামদানী বুনন ও ইনফরমেশন টেকনোলজি(আই.টি) প্রজেক্ট ইত্যাদি খাতে ঋণ দেয়া হয়।
আর্ন্তজাতিক বাণিজ্য ঋণ:
আমদানী বাণিজ্য :
লেটার অব ক্রেডিট ইস্যু,পেমেন্ট এগেইনিস্ট ডকুমেন্টস(PAD),লোন এগেইনিস্ট ইমপোর্টেড মার্চেন্ডাইজ(LIM) লোন,ট্রাস্ট রিসিপ্ট(LTR),ব্যাংক গ্যারান্টি,বিদেশী ব্যাংক/প্রতিনিধির পক্ষে গ্যারান্টি ইস্যু ইত্যাদি।
রপ্তানী বাণিজ্য:
ব্যাক টু ব্যাক লেটার অব ক্রেডিট,ফোর্সড লোন এগেইনেস্ট ব্যাক টু সব্যাক ক্রেডিট,প্রি শিপমেন্ট ক্রেডিট,প্যাকিং ক্যাশ ক্রেডিট,অভ্যন্তরীণ ও বৈদেশিক বিল ক্রয় ও নেগোসিয়েশন,রফতানীকারকদের ক্যাশ ইনসেনটিভ/সাবসিডি প্রদান ইত্যাদি।
ঋণ গ্রহণের পদ্ধতি :
ঋণের জন্য শাখা প্রধানের কাছে নির্দিষ্ট ফরমে আবেদন করতে হবে। আবেদনপত্রে আবেদনকারী/ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের নাম,ঠিকানা,ব্যবসার আর্থিক অবস্থা ইত্যাদি উল্লেখ করতে হবে। এছাড়াও আবেদন পত্রে ঋণের পরিমাণ,ঋণ গ্রহণের উদ্দেশ্য,ঋণের বিপরীতে কি ধরণের জামানত দিতে ইচ্ছুক,ঋণ পরিশোধ পদ্ধতি ইত্যাদি উল্লেখ করতে হয়।
ক্যাশ ক্রেডিট ঋণের প্রাথমিক জামানত হিসেবে পণ্য সামগ্রী ব্যাংকের নিকট হাইপোথিকেশন অথবা প্লেজ রাখা হয়। সহায়ক জামানত হিসেবে স্থাবর সম্পত্তি ব্যাংকের নিকট রেজিস্টার্ড মর্টগেজ রাখা হয়। ব্যাংকে রক্ষিত স্থায়ী আমানত অথবা বিভিন্ন সঞ্চয় স্কীমের স্থিতির বিপরীতে লিয়েন করে ওডি সুবিধা ভোগ করা যায়। স্থায়ী আমানত রশিদ ব্যাংকে পেজল রাখতে হয়।প্রকল্প ঋণের ক্ষেত্রে প্রকল্পের যন্ত্রপাতি বূাংকের নিকট হাইপোথিকেশন করা হয় এবং প্রকল্পের ভূমি,দালানকোঠা ব্যাংকের অনুকুলে মর্টগেজ রাখা হয়।
রেমিট্যান্স:
অভ্যন্তরীণ ডিডি,এমটি,টিটি ইস্যু ও পরিশোধ
ইন্সট্যান্ট ফিনান্সিয়াল রিকনসিলিয়েশন এন্ড ম্যাসেজিং সিস্টেম(IFRMS)- এর আওতায় ডিডি এডভাইস/এমটি/টিটি/টিআরএ দ্রুত একশাখা থেকে অন্য শাখায় প্রেরণ করা হয়।
বৈদেশিক
ফরেন ইনওয়ার্ড রেমিট্যান্স
ফরেন আউটওয়ার্ড রেমিট্যান্স
পেমেন্ট অর্ডার ইস্যু :
ব্যাংকের সকল শাখা হতে পেমেন্ট অর্ডার ইস্যু করা হয়।
সরকারী লেনদেন:
বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে সম্পাদিত এজেন্সী চুক্তির আওতায় নির্ধারিত শাখাসমূহে সরকারের বিভিন্ন হিসাব খাতে ট্রেজারী চালানের মাধ্যমে অর্থ জমা গ্রহণ করা হয়।এছাড়াও নির্ধারিত শাখাসমূহে সরকারী চেক ও বিলের অর্থ পরিশোধ করা হয়। ব্যাংকের ৮টি সাবচেস্ট,৫৭টি চেস্ট,৪০৮টি নন-চেস্ট ট্রেজারী ও ৯৭টি শুধুমাত্র আদান গ্রহণকারী শাখা মিলিয়ে মোট ৫৭০টি শাখার মাধ্যমে সরকারী লেনদেন(আদান-প্রদান) পরিচালনা করা হয়।
অন্যান্য সেবা:
বেতন ও ভাতা প্রদান :
ইউটিলিটি বিল গ্রহণ:
সেবা প্রদানের সময়সীমা:
ব্যাংকের বিভিন্ন ধরণের সেবা যেমন,হিসাব খোলা,গ্রাহকের হিসাবে অর্থ জমা,চেকের মাধ্যমে অর্থ উত্তোলন,ব্যাংক ড্রাফট ক্রয় ও নগদায়ন,ঋণ মঞ্জুরি,নবায়ন ও পুনঃতফসিলীকরণ ইত্যাদি কাজ নিষ্পত্তির জন্য সময়সীমা নির্ধারণ করা আছে।
সেবা সম্পর্কে অভিযোগ
ব্যাংকের সেবা সম্পর্কে কোন অভিযোগ থাকলে তা সংশ্লিষ্ট শাখা প্রধান ও নিয়ন্ত্রণকারী অফিস প্রধান-এর নিকট করা যেতে পারে। এছাড়াও প্রতিকার চেয়ে প্রধান কার্যালয়ের নিম্নবর্ণিত নির্বাহীদের বরাবরে অভিযোগপত্র প্রেরণ করা যেতে পারে।
Planning and Implementation: Cabinet Division, A2I, BCC, DoICT and BASIS